বৃষ্টিতে বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা: পানি ঢুকে পড়ে ক্লাশরুমে

সময়: 7:34 am - August 21, 2024 | | পঠিত হয়েছে: 87 বার

মির্জাগঞ্জ সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কাঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতেই মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে অতিবৃষ্টির কারনে মাঠে পানি জমে বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে ভবনের নিচতলার ৪টি ক্লাশরুম প্লাবিত হয়। পানি জমে থাকায় প্রথম সেসনের পরে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশের খালের বাঁধে পানি আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, তবে এই সমস্যা সমাধানে মাঠে মাটি ভরাট করে উঁচু করা প্রয়োজন ও পানি নিস্কাসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে উপজেলার মাধবখালীতে কাঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শতাধিক। কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের নিচের বারান্দায় ও ক্লাশগুতে আসা-যাওয়া করা যায় না। গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টি ও গত মঙ্গলবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা আরও বেড়ে যায়। এতে বিদ্যালয়ের মাঠসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠে বালুদিয়ে ভরাট করা হয়েছিলো অনেক আগে। অতিবৃষ্টির জন্য মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত খেলাধুলা করা যায় না। তাছাড়া বিদ্যালয় থেকে সহজে বের হওয়া যায় না। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাধবখালী ইউনিয়নের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। এই বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং বিদ্যালয়ের ভিতরে পানি প্রবেশ করে। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে নানা বিড়াম্ভনায় পড়তে হয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  দৃষ্টি আকার্ষন করছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন-অর-রশিদ বলেন,আমাদের বিদ্যালয়টি চারপাশ আটকানো। ভালো ভাবে পানি নিস্কাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। দক্ষিন দিকে খালের পাশে পানি নিস্কাসনের জন্য যে ব্যবস্থা আছে তাও নাজুক। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে মাঠটিতে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলে মাঠে পানি বেড়ে যায়। বিদ্যালয় ভবনের নিচের ৪টি ক্লাশরুম পানিতে সয়লাব হয়ে আছে। এ কারনে শ্রেনীর কার্যক্রম সঠিক ভাবে পালন করা যায় না। বেশি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় প্রথম সেসন শেষ করে করেই বাধ্য হয়ে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহদিুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ বৃষ্টির পানি জমে আছে। বিদ্যালয়টি নিচুঁ স্থানে হওয়ার কিছুটা এ সমস্যার সৃষ্টির হচ্ছে। এরজন্য একটি ড্রেনের ব্যবস্থা হয় এবং সঠিক ভাবে পানি নিস্কাশন হতে পারে সে লক্ষে উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষকে অবহিত করা হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর